প্রবাসী সাংবাদিক মাসুম আহমেদ মীরার প্রতিবেদন
খুলনা থেকে এসেছিল পটুয়াখালীতে চাকরি করতে, কিন্তু বাস্তবে এসেছিল নারীলিপ্সার রাজত্ব কায়েম করতে! সহকারী সার্জনের চেয়ারে বসে হাসপাতালের রোগী দেখার চেয়ে নয়ন সরকার ব্যস্ত ছিল নার্স, ক্লিনিকের কর্মচারী আর ডায়াগনস্টিকের কাউন্টার গার্লদের পিছনে!
নিউমার্কেটের ফোকাস ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বসে চিকিৎসা নয়, বরং কাউন্টারের মেয়ের সাথে প্রেমলীলা! হাতে নাতে ধরা পড়ে, মালিক শিবলীর কাছে। বিশাল কেলেঙ্কারি হয়। শিবলী প্রথমবার নয়ন সরকারের নোংরামি ধরে ফেলেন। এত বড় কেলেঙ্কারি ছড়িয়ে পড়ার পর নয়ন সরকার আর তার স্ত্রী ডাক্তার পূজা ভান্ডারী বিশাল অঙ্কের টাকা ঢেলে বিষয়টি ধামাচাপা দেন।
কিন্তু থেমে থাকলে কথা ছিল! এরপর নয়ন সরকারের চোখ পড়ে লোহালিয়া এলাকার মুসলিম ধর্মের মেয়ে মিম-এর উপর। মিম একটি নার্সিং ইনস্টিটিউটে পড়াশুনা করেন এবং পটুয়াখালীর বিসমিল্লাহ ক্লিনিকে নার্স হিসেবে কাজ করতো। সেখান থেকেই নয়ন সরকারের সাথে তার অবৈধ সম্পর্কের শুরু। পটুয়াখালীর অলিতে গলিতে এখন কান পাতলেই শোনা যায় এই কেলেঙ্কারির গল্প। ডাক্তার নয়ন সরকারের সাথে মিমের সম্পর্ক প্রকাশ্যে আসতেই সে তার ফোন বন্ধ করে লাপাত্তা হয়ে যায়।
লোকমুখে শোনা যাচ্ছে, হিন্দু ধর্মের নারীলিপ্সু ডাক্তার নয়ন সরকার এখন আবার নতুন টার্গেট খুঁজছে। পটুয়াখালীর মানুষ কি আর একবার তার নোংরা চারিত্রিক রাজত্ব সহ্য করবে?
পটুয়াখালীবাসীর কাছে প্রশ্ন, কীভাবে একজন চরিত্রহীন লম্পট আপনার সন্তান, আপনার মা-বাবা, আপনার পরিবারের চিকিৎসক হতে পারে? পটুয়াখালী সদর হাসপাতাল কি নারীলিপ্সু এসব লম্পটদের আস্তানা হবে?
ছবিতে নারীলিপ্সু নয়ন সরকার ও তার স্ত্রী এবং তার পরকীয়া সঙ্গিনী, সাবেক নার্স মিমের গোপন প্রেমের কিছু মুহূর্ত প্রকাশ করা হলো।
পটুয়াখালীবাসী জাগো! দুর্নীতি আর নোংরামির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে হবে! ডাক্তার নয়ন সরকারকে বহিষ্কার করে, পটুয়াখালী থেকে বিতাড়িত করা এখন সময়ের দাবি।
প্রবাসী সাংবাদিক মাসুম আহমেদ মীরা।