পটুয়াখালীতে শ্রমিক দিবসের (মে দিবস) শোভাযাত্রায় বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। এতে শ্রমিক দলের দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে শ্রমিক দলের নেতা-কর্মীরা সুবিদখালী কলেজ রোড এলাকায় বাকেরগঞ্জ-বরগুনা সড়ক অবরোধ করে রাখেন।
বৃহস্পতিবার (১ মে) সকাল ১১টার দিকে জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। প্রায় এক ঘণ্টা পর পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা গেছে, সকালে উপজেলা প্রশাসন ও মির্জাগঞ্জ উপজেলা জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে উপজেলা শহরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. সাহাবুদ্দিন নান্নু সমর্থিত ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম ফরাজী সমর্থিত গ্রুপের নেতাকর্মীরা উপজেলা পরিষদের সামনে পৌঁছালে দুই গ্রুপের মধ্যে কথা–কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। একপর্যায়ে ব্যানার ছেঁড়ার ঘটনা ঘটে।
পরে জাহাঙ্গীর আলম ফরাজী সমর্থিত শ্রমিক দলের নেতাকর্মীরা সুবিদখালী কলেজ রোড এলাকায় ফিরে বাকেরগঞ্জ-বরগুনা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. সাহাবুদ্দিন নান্নুর বিপক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
এক ঘণ্টা পর মির্জাগঞ্জ থানা-পুলিশ শ্রমিক দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম ফরাজী জানান, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মে দিবসের শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করি। শোভাযাত্রাটি উপজেলা পরিষদের সামনে গেলে বিএনপির সভাপতি মো. সাহাবুদ্দিন নান্নু আমাদের ব্যানার টেনে ছিঁড়ে ফেলেন। এতে মে দিবসের শোভাযাত্রাটি পণ্ড হয়ে যায়।’
উপজেলা শ্রমিক দলের সদস্য মো. সোহেল মৃধা বলেন, ‘আমাদের শ্রমিক দলের শোভাযাত্রার ব্যানার উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. সাহাবুদ্দিন নান্নু টেনে ছিঁড়ে ফেলেছে। মূল দলের মধ্যে গ্রুপিং থাকতে পারে, উপজেলা বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীদের মধ্যে কোনো বিভেদ ছিল না।’
উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. সাহাবুদ্দিন নান্নু বলেন, মে দিবসের শোভাযাত্রায় উপজেলা বিএনপির বহিস্কৃত সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম ফরাজী থাকায় সাধারণ নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল, পরে সব ঠিক হয়ে গেছে।
মির্জাগঞ্জ থানার ওসি মো. শামীম হাওলাদার বলেন, বিএনপির দুই গ্রুপের ধাক্কাধাক্কির ঘটনা শুনেছি। এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি।