দৈনিক যুগান্তরের পটুয়াখালী জেলা স্টাফ রিপোর্টার জলিলুর রহমান পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে যুবদল নেতার হামলার শিকার হয়েছেন।
অভিযোগ উঠেছে, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি গোলাম রাব্বানী তাকে মারধর ও গালিগালাজ করেন। মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) পটুয়াখালী নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সময় কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলী হোসেন আলী মীরসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী।
হামলার শিকার সাংবাদিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাংবাদিক জলিলুর রহমান এলজিইডির প্রকল্প সংক্রান্ত তথ্য নিতে নির্বাহী প্রকৌশলীর কক্ষে যান। তিনি যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে যুবদল নেতা গোলাম রাব্বানী ওই কক্ষে প্রবেশ করে সাংবাদিক জলিলুর রহমানকে দেখেই উত্তেজিত হয়ে গালিগালাজ করেন। একপর্যায় সাংবাদিক জলিলুর রহমানকে নির্বাহী প্রকৌশলীসহ অন্যদের উপস্থিতিতে বেধড়ক মারধর করেন। পরে তাকে অফিস থেকে বের করে টেনেহিঁচড়ে সিঁড়িতে নিয়ে দ্বিতীয় দফায় মারধর করেন। এতে অফিসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।
হামলার শিকার যুগান্তরের সাংবাদিক জলিলুর রহমান বলেন, আমি সংবাদের তথ্য সংগ্রহ করার জন্য নির্বাহী প্রকৌশলীর অফিসে গিয়েছিলাম। কোনো কারণ ছাড়াই যুবদল নেতা গোলাম রাব্বানী আমাকে দেখে উত্তেজিত হয়ে বেধড়ক মারধর করেন। আমাকে রক্ষা করতে অফিসের একজন এগিয়ে এলে তার সঙ্গেও ঝামেলা করেন।
তিনি বলেন, এর মাস-তিনেক আগে যুবদলের এই নেতা গোলাম রাব্বানী আমাকে প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত করেছিলেন। দ্বিতীয়বার তিনি আমার ওপর হামলা করেছেন। বিষয়টি আমার জীবনের নিরাপত্তা ও পেশাগত স্বাধীনতার জন্য হুমকি স্বরূপ।
এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এলজিইডির পটুয়াখালী নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী কামাল হোসেন বলেন, সাংবাদিক জলিলকে লাঞ্ছিত করেছেন পটুয়াখালী জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি গোলাম রাব্বানী। তবে কী জন্য তা বলতে পারেননি তিনি।
পটুয়াখালী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী হোসেন আলী মীর বলেন, মঙ্গলবার সকালে আমার রুমে বসা ছিলেন সাংবাদিক জলিল। সেই সময় গোলাম রাব্বানী রুমে ঢুকে জলিলকে দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে অশালীন ভাষায় গালাগাল করেন ও চড়-থাপ্পড় দেন।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত পটুয়াখালী জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি গোলাম রাব্বানীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি তিনি।
পটুয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন বলেন, জলিল সাংবাদিকতার পাশাপাশি ঠিকাদারিও করেন। আজকের (মঙ্গলবার) এই বিরোধ ঠিকাদারি কাজ নিয়েই বলে আমি শুনেছি।
এ ব্যাপারে পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।