ঢাকাWednesday , 21 May 2025
  1. Serialers
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আবহাওয়া
  7. আরো
  8. ইসলামি প্রশ্নত্তর
  9. এক্সক্লুসিভ নিউজ
  10. কৃষি
  11. খুলনা বিভাগ
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. চট্টগ্রাম বিভাগ
  15. চাকরি
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দেশবাসীকে সাবধান করলেন জনপ্রিয় অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট লেখক পিনাকী ভট্টাচার্য

Link Copied!

পিনাকী ভট্টাচার্য তার ভেরিফাই ফেসবুক পেইজে এমনটি পোস্ট করেন

~দেশবাসী সাবধান: জেনারেল ওয়াকাররা ইন্ডিয়ার স্বার্থে দেশের রাজনৈতিক গতিমুখ অন্যদিকে ঘুড়িয়ে দিচ্ছে~

১/ বাংলাদেশের সেনাপ্রধান একজন ইন্ডিয়া অনুরাগী ব্যক্তি। তিনি আওয়ামী লীগকে অন্তর্ভুক্ত করে ভবিষ্যতে জাতীয় সংসদে নির্বাচন সম্পন্ন করার পক্ষ প্রায় প্রকাশ্যেই বলেছেন। জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান নিয়মিত ইন্ডিয়ার সেনাপ্রধানের সাথে কথা বলে তার পরামর্শে কাজ করেন। এটা ভারতীয় সরকারের পক্ষ থেকে বারংবার দাবি করা হয়েছে। ভারতীয় মিডিয়ার পালকি শর্মা ওয়াকারকে ভারতপন্থী জেনারেল বলে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনার পক্ষ অবলম্বন করে তিনি এই অপরাজনীতি করেই যাচ্ছেন।

২/ এর বিপরীতে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মুহাম্মদ ইউনূস কোন রাজনীতিই বুঝেন না, বা করেন না, অথবা করতে পারেন না। কিন্তু বিএনপি’র বিপরীতে ব্যাপকভাবে তার জনপ্রিয়তা বাড়ছে! এর তিনটি প্রধান কারণ হচ্ছে;

প্রথমত; তাঁর সরকার দুর্নীতিমুক্ত। তিনি খুনী হাসিনার আমলে যেভাবে বাংলাদেশকে লুটপাট করে দেউলিয়া করে ফেলা হয়েছে, তিনি শক্তহাতে এর বিচার করতে চান।

দ্বিতীয়ত; দেশবাসীর সকল মৌলিক, মানবিক ও রাজনৈতিক অধিকার ছিনিয়ে নেয়ার অপরাধে তিনি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে শক্ত হাতে শাস্তি দিতে চান।

তৃতীয়ত; বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে গত ৫৩ বছর ধরে এদেশের ভাগ্য নিয়ে ইন্ডিয়া যেভাবে ছিনিমেলি খেলছে, এবং ১৫ বছর দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনকে সমর্থন দিয়ে তারা বাংলাদেশকে যেভাবে ভুগিয়েছে, তিনি তাতে ক্ষুব্ধ ও ক্রুদ্ধ।

৩/ দেশবাসীকে বোকা ভাবার কোন কারণ নাই! মানুষ বোঝে, কেন আজ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে সমর্থন করতে হবে।

৪/ দেশবাসীকে বোকা ভাবার কোন কারণ নাই! মানুষ বোঝে, কেন আজ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে সমর্থন যোগাতে হবে। অভিন্ন কারণে সশস্ত্র বাহিনীর ৯৫ ভাগ সদস্যও বুঝে, এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পেছনে কেন এক জোট হয়ে দাঁড়াতে হবে। কারণ এটা বাংলাদেশের স্বাধীন অস্তিত্ব ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন। স্বাধীনসত্ত্বা নিয়ে ইন্ডিয়ার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আপন দেশের জনগণের স্বার্থে রাষ্ট্র পরিচালনার বিষয়। আর সেই দেশবাসীরা যখন দাঁড়িয়ে যায়, তখন জেনারেল ওয়াকার সহ অল্প কিছু কর্মকর্তার ভিন্ন কিছু করার সুযোগ হারিয়ে যায়।

৫/ গতকাল বুধবার ঢাকা সেনানিবাসের সেনা প্রাঙ্গণে অফিসার্স অ্যাড্রেসে সেনাপ্রধানের দেয়া বক্তব্য বলে গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে যা প্রচার করা হচ্ছে, তা বিশ্লেষণ করলে তিনটি সত্য উদঘাটিত হয়।

প্রথমত; ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ায় জেনারেল ওয়াকারসহ তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের ছোট্ট গ্রুপটি খুবই বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছে। কোন কারণ না থাকার পরও এই ক্ষুদ্র গোষ্ঠীটি বিচারের মুখোমুখি হওয়ার ভয়ে বা চাকুরী হারানোর ঝুঁকিতে ক্লান্ত, হতাশ ও কাতর হয়ে পড়েছে!

দ্বিতীয়ত; সেই কারণে তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার কার্যক্রম, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে গৃহীত পদক্ষেপ এবং জুলাই ঘোষণা বা প্রক্লামেশনকে বাধাগ্রস্ত করার উদ্যোগে নিয়েছে।

তৃতীয়ত; সরাসরি জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে এই গোষ্ঠিটি শত্রু ভাবাপন্ন ইন্ডিয়ার স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। প্রতিবেশী এই দেশটির পক্ষ নিয়ে তাদের এজেন্ট হিসেবে বাংলাদেশ বিরোধী কার্যক্রমে লিপ্ত জনধিক্কৃত ফ্যাসিস্ট দলটিকে সঙ্গে নিয়ে, ‘সকল দলের অংশগ্রহণের’ মধ্যদিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতিয় সংসদ নির্বাচনের তত্ব হাজির করে প্রধান উপদেষ্টার উপর চাপ সৃষ্টি করছে।

৬/ জাতীয় স্বার্থ বিরোধী অন্তর্ঘাতমূলক অপকর্মে জড়িত জেনারেল ওয়াকার চক্র ইন্ডিয়ার পাশাপাশি বিএনপিকে তাদের সাথে যুক্ত করতে পেরেছে! লক্ষ্য করলে দেখবেন, একদিকে ইন্ডিয়া একের পর এক বাংলাদেশের স্বার্থ বিরোধী নানান ব্যবস্থা নিচ্ছে। অন্যদিকে, বিএনপি দেশব্যাপী অস্থিতিশীলতা তৈরি করার লক্ষ্যে লাগাতারভাবে নানান ক্ষতিকর কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছে। সেনাপ্রধান, ইন্ডিয়া ও বিএনপি’র মধ্যে আজ যে রাজনৈতিক সমঝোতা গড়ে উঠেছে এটা তারই ইঙ্গিত বা প্রমাণ।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।