সাবেক এমপি গোলাম মাওলা রনির ফেসবুক পোস্টে পটুয়াখালী-৩ আসন ঘিরে ‘চরম অস্থিরতার’ আভাস
সাবেক সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ ও কলামিস্ট গোলাম মাওলা রনি তার ফেসবুক পোস্টে পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা–দশমিনা) আসন ঘিরে নির্বাচনকে ঘিরে অস্থির ও উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির ইঙ্গিত দিয়েছেন। তার ভাষ্য এ আসনে আসলে কি ঘটতে যাচ্ছে তা কেবল আল্লাহই জানেন।”
রনি তার পোস্টে উল্লেখ করেছেন, নির্বাচন এখনো অনেক দূরে হলেও গলাচিপা–দশমিনায় প্রতিদিনই নির্বাচনী উত্তাপ তীব্র হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে প্রতিদিনই কয়েক দফা করে নির্বাচনী লড়াইয়ের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে।
নুর বনাম মামুন: বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব তুঙ্গে
গোলাম মাওলা রনির বিশ্লেষণে দেখা যায়, আসনটিতে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন দুই নেতা। গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, যিনি আলোচনাধীন বিএনপি–জোটের সম্ভাব্য প্রার্থী। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা হাসান মামুন, যার সঙ্গে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন কমিটির অধিকাংশ নেতা–কর্মী রয়েছেন।
এই অবস্থায় বিএনপির অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা দিনদিন বাড়ছে। কে প্রার্থী হবেন—এ নিয়েও জোরালো গুঞ্জন চলছে।
রনির বক্তব্যে উঠে এসেছে, উৎসুক জনতা এখন প্রতিটি জনসভায় ছুটে যাচ্ছে কৌতূহল নিয়ে। আওয়ামী লীগ মাঠে সক্রিয় বিভিন্ন নেতাকর্মীকে ‘পাম্প’ দিয়ে রাজনীতির গতি বাড়াচ্ছে। জামায়াত চর মোনাই এলাকায় মাঠ গোছাতে ব্যস্ত। এই তিনদলের সক্রিয়তা নির্বাচনী উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
‘ইজ্জতের লড়াই’—নুরু ও মামুন দুজনের জন্যই
গোলাম মাওলা রনি তার পোস্টে আরও উল্লেখ করেন, আসনটিতে নির্বাচন হলে ভিপি নুরু ও হাসান মামুন উভয়কেই মাঠে অবতীর্ণ হতে হবে। এখন আর পিছিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। তার ভাষ্য—কেউ যদি পিছিয়ে যায় তবে তার রাজনীতি সারা জীবনের জন্য শেষ।
রনির এই পোস্ট রাজনৈতিক মহলে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপি–জোটের প্রার্থী নিয়ে যে টানাপোড়েন—তা যে সহজে থামছে না, তার স্পষ্ট ইঙ্গিতই দিয়েছেন সাবেক এই সংসদ সদস্য।

